সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র আমার চিন্তা

ছোটবেলায় আব্বা আমাকে খলিফা ( দর্জি) কে বলে ইলাস্টিকওয়ালা সুতি কাপড়ের হাফ প্যান্ট বানিয়ে দিতেন ! প্যান্টা যদিও comfy ছিল, কিন্তু দেখতে আমার চোখে ভাল মনে হতো না !

এদিকে নাইম-আনার পরে ইংলিশ প্যান্ট(ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে তাজু ওগুলো সংগ্রহ করে বাড়ি পাঠাতো) !

নাইমকে আমি বলতাম তোদের প্যান্ট আমার ভাল লাগে; নাইম বলতো দুর বোকা তোর প্যান্ট অনেক ভাল !

পরে আম্মাকে বলে আমি একটি ইংলিশ প্যান্ট বানিয়েছিলাম !

আফসোস আব্বাকে সুস্থ সবল থাকতে যথেষ্ট উপভোগ করতে পারিনি !

আল্লাহ জন্মদাতাকে জান্নাতের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় দাও !

আমার যখন ৬-৭ বছর বয়স তখন আমি আর আব্বা উদলা নৌকা দিয়ে বাংগরা বাজারে
গিয়েছিলাম ! নৌকার মাঝি ছিলেন মুক্তু কাহা; ওনার পরন্ত বয়স ! আব্বা আমাকে লিটু বলে ডাকতেন !

বাজার শেষে আমরা নৌকায় উঠলাম ; আব্বাকে আব্দার করলাম তার রাজকীয় বেতের মোরাটা আমাকে দিতে; ওটা নিয়ে নৌকার সম্মুখের গলিতে গিয়ে বসলাম ! আব্বা আমাকে বাধা দিলেন না !

মুক্তু কাহা নৌকা ছারলেন; বাংগরা ব্রিজের এ পাশে অনেক স্রোত; তিনি যেই লগি চালিয়ে হেই দিলেন তার গতির চোটে আমি গেলাম পানিতে পরে; সাথে সাথে মুক্তু কাহা ডুব দিয়ে আমাকে উঠালেন! তখনো সাঁতার শিখিনি ! আব্বা তার কাঁদে ঝুলানো গামছা দিয়ে আমাকে মুছিয়ে দিলেন!

মুক্তু কাহারে স্যালুট…. আল্লাহ অধমকে দ্বিতীয় জীবন দিলেন ; আল্লাহ ওনাকে জান্নাত দিন!

ইফতেখারের সেইম জায়গায় শেফালী আপা নৌকার সামনে থেকে পরে যায় , সাথে সাথে নানা পকেটে টাকা , কাগজ সহ পানিতে পরে আপাকে বাঁচায় ,
তাহলে বুঝা গেল ঐ ব্রীজটা আমাদের পরিবারের জন্য বিপদসংকুল স্থান

Dr Shariful Islam

আরেকবার চতুরংগখোলার এক ছেলে নাম মনে হয় শিশির আব্বার ক্লাশে হয় পড়া পারে নাই বা আব্বার উদ্দেশ্যে দুস্টামী করে হয়ত কিছু বলছিল , আব্বা সাথে সাথে লাইব্রেরী থেকে দুইটা বেত এনে ক্লাসের সবাইকে বের করে দরজা বন্ধ করে এই যে পেটানো শুরু করল , আমরা শুধু বাহির থেকে “ অ মাগো , অ মাগো” আওয়াজ শুনতেছি , পরে মনে হয় আজিজ মাস্টার ( খুশুর জামাই ) নানা , নানা বলে আব্বাকে শান্ত করে ।
ঐ শিশিরের মনে হয় এখনও আব্বার কথা শুনলে গায়ে জ্বর আসে

আব্বাকৈ আমি অনৈক বকা দিতাম কথা শুনতাম

Mili Afrin

আসলে মেয়েরা ঘরের লক্ষী; মেয়েরা ঘরের প্রান….

মিলি শাহপুরে থাকাকালীন বাড়িটাকে আনন্দে রাখত;

আবার মিরপুরেও মিলি সদা সর্বদা বাড়িটাকে প্রানোজ্জল করে রাখত…

শিউলি আপার absence এ পিন্টুর আপাদমস্তক যত্ন মিলি করত ! হায়রে পিন্টু ! খালারে আমৃত্তু ভুলিস না !

সেগুলো ভুলার নয়

আজকে ওরে শেষ করে ফেলব !

আরেক দিন; আব্বা শিশু শ্রেনীর ক্লাস
(আতা গাছে তোতা পাখি
ডালিম গাছে মৌ
এত ডাকি তবুও কেন
কওনা কথা বউ)

শেষ করে বাড়িতে এসে বিস্রাম নিচ্ছিলেন; মিলিকে ডুবাচাইলের কুদ্দুস স্যার পড়া না পারার জন্য বেত্রাঘাত করল; এমন সময় মিলি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসল; আব্বা শুনা মাত্র খন্তি হাতে নিয়ে স্কুলের দিকে দৌড়াচ্ছেন আর বলছেন কুদ্দুসের এত বড় সাহস আমার মেয়ের গায়ে হাত তুলে; আজকে ওরে শেষ করে ফেলব !

মিলিকে আব্বা অনেক আদর করতেন !

আল্লাহ আব্বার ভুল গুলো ক্ষমা করে দাও